লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানা ভারতীয় সিমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে সব সময়ই মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা নামে জনশ্রুতি রয়েছে। রাত গভীর হলেই এখানে অপরাধীরা হিংস্র হয়ে ওঠে।
গরু চোরাচালান, কসমেটিকস, ভারতীয় কাপড়, ফেন্সিডিল প্রতিনিয়তই বিজিপি ও বিএসএফ এর চোখ ফাঁকি দিয়ে কালীগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়ন দিয়ে প্রবেশ করে।ফলে এলাকাটি মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় একটি জায়গা।তার মধ্য অন্যতম চাপারহাট, শিয়ালখোয়া, চন্দ্রপুর, লতাবর ও গোড়ল উল্লেখ যোগ্য বলে জানা গেছে।
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ থানায় গোলাম রসুল অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন।গোলাম রসুল যোগদানের পরেই মাদকের আখড়া হিসেবে জনপ্রিয় এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে মাদক নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করেন।একের এক ফেনসিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করে মাদক ব্যবসায়ীদের মামলা দিয়ে চালান করেন।এরই ধারাবাহিকতায় জেলা পুলিশের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ের বরাবর তিনিই জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির কারনে মাদক ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে না পেরে গোলাম রসুলের বিরদ্ধে নানা মুখি চক্রান্তে লিপ্ত।যার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় বিভিন্ন মিডিয়ায়।এই মাদক ব্যবসায়ীরা মূলত টাকা ও ক্ষমতাধর হওয়ায় নিজেরাই বেনামে বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল তৈরি করে মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে জেলার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ গোলাম রসুলের নামে অপপ্রচারে লিপ্ত।
ওসি গোলাম রসুল ইতিপূর্বে অন্তবর্তী জেলা দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী থানা বিরল এবং দিনাজপুর ডিবিতেও অফিসার ইনচার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দিনাজপুরের ১৩ টি থানাতেই মাদকের অভিযান পরিচালনা করেছেন এই অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনি একাধিক পিস্তল, গুলি সহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা করেন। আর তার এই সমস্ত কার্যক্রমের কারণে তার প্রশংসনীয় ও সাহসিকতা পূর্ণ কাজের জন্য প্রাক্তন আইজিপি ডক্টর জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম মহোদয় তাকে পুরস্কার স্বরূপ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পদক “আইজি ব্যাজ” প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রসুল বলেন,সাংবাদিকরা আমার বন্ধু।তারা আমাদের কাজ গুলোকে তুলে ধরে।সমাজে পুলিশের সুনাম বৃদ্ধি করে।আমি কালীগঞ্জ থানায় যোগদান করে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।উঠতি বয়সি ছেলেদের মাদকের কুফল সম্পর্কে কাউন্সিলিং করছি।যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়া বসিয়েছি।মাদক ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে না পেরে মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছে।আমাকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।আপনারা আমার কাজ গুলো তুলে ধরে তাদের জবাব দিন।
আমি যতদিন এই থানায় আছি মাদকের ব্যপারে কোন ছাড় নয়। যেখানেই মাদক সেখানেই আমার পুলিশ থাকবে। মাদক ব্যবসায়ীদের সাবধান করে তিনি বলেন হয় মাদক ছাড়ুন না হয় কালীগঞ্জ ছাড়ুন।