লালমনিরহাটে গৃহবধূকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধরের ঘটনার দায়েরকৃত এজাহার তুলতে অস্বীকার করায় শ্বাশুড়িকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসাধীন শ্বাশুড়ি এ বিষয়ে বাদী হয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আসামী করে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বুধবার দায়েরকৃত এ অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাদী রাশেনুর বেগম।রাশেনুর বেগম আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল উপজেলার মদনপুর গ্রামের রাশেনুর বেগমের মেয়ে রিপা আক্তারের সাথে একই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলের আশিকুর জামানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক বাবদ চার লাখ টাকা দাবি করতে থাকে। যৌতুক দিতে না পারায় প্রায় সময়ই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতে থাকে। এ অবস্থায় গত ৩ জুলাই রাতে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন ও মারপিট করে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরে আদিতমারী থানায় তার মেয়ে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি আদিতমারী থানা হতে লালমনিরহাটের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে উইমেন সাপোর্ট সেন্টার থেকে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর হকের কার্যালয়ে উভয়কে উপস্থিত থাকতে নোটিশ দেওয়া হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বিভিন্ন কৌশলে জারিকৃত নোটিশের দিন পিছিয়ে নেওয়ার চেস্টা করে মামলা তুলে নিতে মেয়ে ও তার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত বুধবার সন্ধায় রাশেনুর ও তার মেয়ে রিপা আক্তারকে একা পেয়ে মেয়ের শ্বশুর আমির হোসেন ও তার স্ত্রী আইরিন বেগম সহ কয়েকজন মিলে পথরোধ করে মারপিট করে। এ সময় তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে তিনি এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশেনুর বেগম বলেন, আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মারপিট করা হয়। সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করেছে। সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় আমাকেও মারধর করা হলো। এখন এই অভিযোগ তুলে নিতেও হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।