মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী ও অপপ্রচার চালিয়ে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়ের একটি রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট শহরের শহীদ শাহজাহান কলোনীর বাসিন্দা মৃত শহিদ আলীর ছেলে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম গইজা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ জুন শুক্রবার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে লালমনিরহাট শহরের বিডিআর গেট এলাকায় মানববন্ধন করে একটি চিহ্নিত মহল। ঐ মানববন্ধনে কুচক্রী মহলের ৩-৪ জন ছাড়া সেখানে অধিকাংশ মানুষ ছিলো ভাড়াটে ও শহিদ শাহজাহান কলোনীর সহজসরল মানুষ। ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা কিংবা কোন অভিযোগ নেই। আমি একেবারেই সাদামাটা একজন মানুষ। এ অবস্থায় কাজের সুবাদে আমি ঢাকায় থাকা কালিন সময় পুর্ব শত্রুতার জেরে, শাহজাহান কলোনীর সোনা উল্লার ছেলে সুমন (২৭), লতিফ মিয়ার ছেলে রোমান সহ ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র সহ আমাকে মেরে ফেলার জন্য গত ১০জুন আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আমার বোন মোছাঃ কুসুম বেগম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। পরে আমি বাড়িতে এসে ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। বিষয়গুলো পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, ঐ সঙ্গবদ্ধ চক্রটি আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমাকে পুলিশের সোর্স বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এবং ফেসবুকে মানহানিকর একাধিক পোষ্ট করে। ভুক্তভোগী আরও বলেন যে, আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা বানোয়াট প্রোপাগন্ডা ছড়াচ্ছে মুলত তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা চলমান রয়েছে। আজ আমাকে অনেকটা গৃহবন্দী করে রেখেছে ঐ সংঘবদ্ধ চক্র। তারা আমার বাড়ির চার পাশে দলবদ্ধ হয়ে ২০-২৫ জন দিনেরাতে ঘোরাঘুরি করছে। যাহার সিসিটিভি ক্যামেরার স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে রয়েছে। বর্তমানে আমি প্রান সংশয়ে রয়েছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান,‘শরীফুল ইসলাম গইজা একসময় থানায় দিন হাজিরা ভিত্তিক কাজ করত। কিন্তু গেল ২ বছর আগে সে কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোন মামলা কিংবা অভিযোগ ছিল না। সম্প্রতী তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে মানববন্ধন হয়েছে। আমরা সববিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি।