লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর থেকে হুমকি দিচ্ছেন শ্যামলী বেগম(৩৮) নামে এক গৃহবধূকে। তাই হাসপাতালে শুয়ে চোখের পানি মুছে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি। এ কারণে তিনি বলেছেন, ‘বিচার না পেলে আত্মহত্যা করব।
শুক্রবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা অবস্থায় চোখের পানি মুছতে মুছতে এ কথা বলেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় বিচার দাবি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত ওই গৃহবধূ।
গৃহবধূ শ্যামলী বেগম উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী সন্তানসহ বাড়িতে প্রতিদিনের মত গত ৬জুন রাতে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ শ্যামলী বেগম। রাতে প্রকৃতির ডাকা সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে বের হন গৃহবধূ। এ সময় ওঁতপেতে থাকা তার প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলে একরামুল হক(৪৮) তার মুখ চেপে ধরে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধূ চেষ্টা করে মুখ খুলে চিৎকার দিলে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে একরামুল হক গলা চেপে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা করে। তার আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে একরামুল পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাঁশ বাগান থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে রাতেই কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গৃহবধূ শ্যামলী বেগম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একরামুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
শ্যামলী বেগমের স্বামী আবুল হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে বাহিরে যাই আমি। প্রায় আমার স্ত্রী একরামুলের বিষয় বলে। এরপর একরামুল আরো আমাদের ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেন। তাই আমি এই লম্পট একরামুলের বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম রসুল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।