লালমনিরহাটের আদিতমারীতে গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন করে পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও এমপিও নীতিমালা মেনেই এই নিয়োগ প্রকাশ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস আদেশ মেনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ড গঠন করে তুষভান্ডার নছর উদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এসবে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ২৪ মে ম্যানেজিং কমিটির সভায় পত্র প্রদান করা হয়। তারা যোগদান করে কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক পরামর্শক্রমে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্তক্রমে নিরাপত্তা কর্মীর স্থলে অফিস সহায়ক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১৭ জন প্রার্থীর আবেদনের পর জেলা শিক্ষা
কর্মকর্তার নিকট মহাপরিচালকের প্রতিনিধি গ্রহণের আবেদন করলে এই পদে নিয়োগের অফিস আদেশ প্রদান করেন। যার বিষয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।
কিন্তু এই বিষয়ে একটি মহল আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও লাঞ্চিত করতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। অর্থ নিয়ে নিয়োগের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট।
মহিষখোচা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে নিয়োগের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার সাথে সম্প্রতি এই নিয়ে কোন কথাই হয় নাই। এটি মিথ্যা অভিযোগ। তার কাছ থেকে আমি কোন টাকা নেই নাই বা কোন চুক্তিও করি নাই।
এসময় উক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান কামাল সহ ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত ৩০মে সোমবার দুপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ ও নিয়োগ বাতিল দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন চাকুরি প্রত্যাশিসহ সচেতন এলাকাবাসি।