লালমনিরহাটে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে ও অস্ত্র আইনে তিনজনের যাবজ্জীবনসহ ছয়জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের টেপুরগাড়ী এলাকার আজিজার রহমান মাস্টারের ছেলে ফজলে রাব্বী, একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সোহেল রানা, পাটগ্রাম পৌরসভার সাহেবডাঙা এলাকার খাদেম শাহের আলীর ছেলে মো. সাহিন, একই এলাকার আলাউদ্দিন মুন্সির ছেলে শাহ আলম, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মুশরত মদাতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হাসান মাসুদ ও একই এলাকার মাঠিয়ালপাড়া এলাকার এরশাদুল হকের ছেলে গোলাম রব্বী। এছাড়া একই মামলায় আসামিদের মধ্যে ফজলে রাব্বী, মো. সাহিন ও হাসান মাসুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আলোচিত এই মামলা থেকে বেখসুর খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন-আজাহারুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম আলাল।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২ আগস্ট রংপুর র্যাব-১৩ এর একটি দল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার পোস্ট অফিসপাড়ার এমএম প্লাজা মার্কেটের ডায়না ফ্যাশন টেইলার্সে অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি শর্টগান, গুলি, বিভিন্ন নামে ২৪টি জিহাদী বইসহ ফজলে রাব্বী, মো. সাহিন, হাসান মাসুদ, শাহ আলম, সোহেল রানা, গোলাম রব্বানী, আজাহারুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম আলালকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই দিনই রংপুর র্যাবের কর্মরত এসআই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করে আসামিদের পুলিশে সোপদ করে।
এ মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান।
লালমনিরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আসামিরা যতদিন হাজতবাস করেছেন। তা দণ্ড থেকে বাদ যাবে।