মিনহাজুল আবেদীন নান্নু-হাবিবুল বাশার সুমনদের নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। তবে তাদের ভবিষ্যৎ ঝুলে থাকছে আরও কিছুদিন।
আপাতত এর কারণ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের জাতীয় নির্বাচনে ব্যস্ততা।
প্রায় এক যুগ ধরে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন নান্নু ও বাশার, তাদের দুজনের সঙ্গে যোগ হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। সাত বছর ধরে নির্বাচকদের প্রধান নান্নু। তাদের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। এরপর কী আছে তাদের ভাগ্যে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি তো ৮ তারিখের (জানুয়ারি) আগে ঢাকায় ফেরত আসতে পারছি না। আমি (কিশোরগঞ্জ) চলে যাচ্ছি। একবারে নির্বাচন শেষ করে, ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই আসতে হবে। এরপর বোর্ড সভা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। যত দ্রুত সম্ভব… পারলে ২-৩ দিনের মধ্যে নিয়ে নেব, বিপিএলের মধ্যেই। ’
বর্তমান নির্বাচকদের নিয়ে সমালোচনা রয়েছে অনেক। মিডিয়ায় গুঞ্জন আছে, মেয়াদ আর বাড়ছে না নান্নু ও সুমনের। তবে নির্বাচকদের নিয়ে করা সমালোচনা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিসিবি সভাপতির।
‘দেখুন, আপনাদের জন্য বলছি আরকি। নির্বাচক প্যানেল বদলাতে পারে, এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কথাটা হচ্ছে আমি আপনাদের বিশ্বকাপের আগে প্রশ্নগুলো করেছিলাম যদিও কেউ উত্তর পাঠায়নি। তাদের কাছে চেয়েছিলাম যে আপনাদের পছন্দের স্কোয়াডটা বলেন। নির্বাচকের কাজ যদি খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয় আমি যেভাবে দেখি। ছোট তামিমকে (তানজিদ তামিম) খালি বাদ দেই। কারণ সেখানে তামিম ইকবালের যাওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে সে ওপেন করছে। এখানে গেছে লিটন দাস, শান্ত, সাকিব, মুশফিক, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিরাজ। আমি বোলারদের ধরলাম না। ’
‘কাকে বাদ দিলে আপনারা খুশি হতেন, আমাকে যদি একটা-দুইটা নাম বলতেন। আজ পর্যন্ত কেউ নাম বলে না। আর বলে নির্বাচক তার সব দোষ। কাউকে বাদ দেয়নি দেখেই দোষ। কাকে বাদ দিলে আপনারা বলতেন খুব ভালো হয়েছে। এই উত্তরটা না পেলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। আমি যে জিনিসটা বলতে চাচ্ছি এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরিবর্তন হয়, অনেকদিন হয়েছে, সবসময় পরিবর্তন হওয়াটা ভালো। কাউকে অভিযোগ দিয়ে বাদ দেয়া, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদ দেওয়া খারাপ নিদর্শন তৈরি করে। ’