করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০০ সাংবাদিককে অর্থ সহায়তা দিয়েছে সরকার।
শনিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের সহায়তার অর্থের চেক বিতরণ করেন।
করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য এ বিশেষ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এর আওতায় দেড় হাজার সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন তথ্যমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে এ সহায়তা দেয়া হবে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সাংবাদিকরা করোনাকালে কাজ করছেন, অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছেন। সাংবাদিকরা হাতগুটিয়ে বসে থাকলে মালিকরা চাইলেও গণমাধ্যম চালু থাকত না।
মানবিক বিবেচনায় সরকার যেমন সাংবাদিকদের সহায়তা করছে, এ সময় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের অনেকের সাময়িক কষ্ট হলেও গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ ও চাকরিচ্যুতি না করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় সরকারি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল মন্ত্রণালয়ে পত্র ও তাগিদ দেয়া হয়েছে যাতে করে সংবাদকর্মীদের বেতন দিতে সুবিধা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ইতোমধ্যে তিন লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। সেই পরিবাররা আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও সহায়তা দেয়া হবে।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল।
সহায়তাপ্রাপ্ত সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা করেন আতাউর রহমান জুয়েল ও মোহাম্মদ তারিক আল বান্না। বক্তারা এ সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়া চলমান সহায়তার প্রথম পর্বে এ পর্যন্ত ৪৮টি জেলায় সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে এ সহায়তা পৌঁছেছে বলে জানান ডিইউজে সভাপতি।