রংপুর ও ঢাকায় গণহত্যা মামলায় লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে বড়খাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবেদ হোসেন বাবু (৫৮), একই উপজেলার কেতকিবাড়ি গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মায়ানুর ইসলাম পলাশ (৪৯), দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের শাহ আমজাদ হোসেনের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ মোমিনুল ইসলাম (৪৫), কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বুলু সরকার ও আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরকার।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন্নবী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় ঢাকা লালবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবেদ হোসেন বাবু ও ৫ আগস্টের পরে হাতীবান্ধায় হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় মায়ানুর ইসলাম পলাশ ও মোমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক স্থান থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে রংপুরে গণহত্যা মামলায় তদন্তে সন্দেহভাজন আসামি যুবলীগ নেতা বুলু সরকারকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় অজ্ঞাত আসামি দুর্গাপুর ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরকারকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানা ওসি ওমর ফারুক বলেন, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর মামলার অজ্ঞাত আসামি আব্দুর রাজ্জাক সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।