লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বুলেটকে (৩২) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার দায়ে লালমনিরহাটের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও নামধারী আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খান (৪৮)সহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বুধবার বিকালে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আদিব আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন,আমিনুল ইসলাম খান, বিপুল খান ও মজিদুল ইসলাম( মজিদুল চোর)।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম খান লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া ( পাঠানটারী) গ্রামের হায়দার আলী খানের ছেলে। মজিদুল ইসলাম একই গ্রামের গোলজার খানের ছেলে ও বিপুল খান একই গ্রামের ফজলে খানের ছেলে।কারাদন্ডপ্রাপ্তরা- তিনজনেই পলাতক রযেছেন।
মামলার চার্জশিট ভুক্ত একরামুল হক, মিঠু ওরফে কিলার মিঠু এবং মালেক কাসাইসহ মোট ছয়জন হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদরের মহেন্দ্রনগরের চিনিপাড়া গ্রামের এনামুল হক সরকারের ছেলে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেট কে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খান মোবাইল ফোনে ডেকে ২০১৫ সালের ২৭ জুন রাতে মহেন্দ্রনগরের খান মার্কেটের পিছনে একটি বাশ ঝাড়ে বুলেটকে পিটিয়ে ও এলোপাতারি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে । পরে বুলেট কে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরেরদিন ২৮ জুন সন্ধ্যায় নিহত ফখরুল ইসলাম বুলেটের বাবা এনামুল হক সরকার বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম খানসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনকে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই আমিনুল ইসলাম খানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
নিহতের পিতা ও মামলার বাদি এনামুল হক সরকার রায়ের বিষয়ে বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে খুনি আমিনুলসহ অন্যান্য ঘাতকরা।আমি খুনি আমিনুলসহ সবার ফাসি চাই।
বুলেট হত্যা মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে বুলেট হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষনার সময় হাজতে থাকা খালাসপ্রাপ্ত তিনজন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত তিনজন আসামী পলাতক রয়েছে। বাকি আসামীরা খালাস পেয়েছেন।