পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে মহসেন জুটমিল এলাকায় শ্রমিক চরম অসন্তোষ

পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে মহসেন জুটমিল এলাকায় শ্রমিক চরম অসন্তোষ
খুলনা ব্যক্তি মালিকানা মহসেন জুট মিলে ঈদের পূর্বে চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিঃ ৫ বছরেও পরিশোধ হয়নি গ্রাচুইটির টাকা
খুলনার শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধিন মহসেন জুট মিল বন্ধের পাঁচ বছর আতিবাহিত হলেও পরিশোধ হয়নি ছাটাইকৃত শ্রমিক কর্মচারীর গ্রাচুইটির চুড়ান্ত পাওনা। খানজাহান আলী থানাধীন মহসেন জুট মিলের ছাটাইকৃত শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত পাওনার দাবিতে এলাকায় শ্রমিক উত্তেজনা বিরাজ করছে । ভুক্তভুগি শ্রমিক কর্মচারীরা বলেন মহসেন জুট মিলটি একটি লাভ জনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্যেও মিলটি ২৩ জুন ২০১৩ হইতে ৩৯০ দিন বেআইনি লেঅফ ও এর পরে ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখ এক নোটিশে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে ছাটাই করা হয়। শ্রম আইনে ছাটাইয়ের ত্রিশ কর্মদিবসের মধ্যে পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও প্রায় ৫ বছরেও তা পরিশোধ হয়নি । ছাটাইয়ের পর থেকে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছে মিল কতৃপক্ষ কখনও মিল চালানোর বা কখোনও মিল বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করবে বলে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর তারিখ দিয়ে আসছে। যা শুধু শ্রম আইন বিরোধী ই নয় এটা মানবাধিকার লংঘন। অর্থাভাবে ইতি মধ্যে রোগে ভুগে বিনা চিকিৎসায় অনেক শ্রমিক মারা গেছে । শ্রমিক কর্মচারীরা মারা যাওয়ার পর দাফনের জন্যও তার পাওনা টাকা থেকে একটি টাকা পায়নি বলে অভিযোগ আছে। অনেকে বৃদ্ধ বয়সে বিনা চিকিৎসায় রোগে ভুগছেন সারা জীবনের চাকরীর শেষ সম্বল গ্রাচুইটি থেকে একটি টাকাও পাচ্ছেনা চিকিৎসার জন্য। অনেক শ্রমিক পরিবারের মেধাবী সন্তানদের টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে আগামী ঈদ উল ফিতরের পূর্বে সকল পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও এখনো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিক কর্মচারীরা । ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও চুপ চাপ শ্রমিক নেতারা, শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই তাদের । শ্রমিকের পাওনাকে কেন্দ্র করে কমিশন বানিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে মিলের ভিতরে থাকা লোহা, তামা ,পিতল, মেশিন পত্র বিক্রি করে রাতে রাতে ট্রাক ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে । মালিকের এই সড়যন্ত্রের সাথে শ্রমিক নেতাদের সম্পৃক্ততা রয়ছে বলে মনে করেন শ্রমিক কর্মচারীরা। ঈদের পূর্বেশ্রমিক কর্মচারীদের পাওনার ব্যাপারে মহসেন জুটমিল ওয়াার্কাস ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ মুঠোফোনে বলেন আমি কোন সিদ্ধান্ত পাচ্ছিনা মিলের এম ডি খোরশেদ আলোম ৬ রমজান থেকে মিলে আসবেন বলে অদ্যবদি তিনি মিলে আসেননি। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে মহসেন জুট মিলের নির্বাহী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান ঈদের পূর্বেশ্রমিক কর্মচারীদের আংশিক পরিশোধ করা হবে। এদিকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন সময়ে এলাকার আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটতে পারে। এব্যপারে ছাটাইকৃত শ্রমিক কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।