রাজধানীর আদাবর থানায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যা মামলার আসামি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত রাখতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মামলা তদন্তনাধীন থাকা অবস্থায় তদন্ত কাজে সহায়তা করার জন্য তাকে দেশে ফেরত আনার পদক্ষেপ নিতেও নোটিশ বলা হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) আইনজীবী রাফিনুর রহমানের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিসির পরিচালনা পর্ষদ, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, বিসিবির নির্বাচক (পুরুষ) ও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির বরাবর এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশের ভাষ্য মতে, সম্প্রতি বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি পরিবর্তন দেখেছে। বিসিবিতেও একটি পরিবর্তন হয়েছে। তরুণ জেনারেশনের চেষ্টা ও জীবনের বিনিময়ে পরিবর্তন এসেছে। দেশকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য অনেকে জীবন দিয়েছে, অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছে।
গত ৫ আগস্ট আহত হয়ে ৭ আগস্ট এক গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর আদাবর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। এতে সাকিবের নামও রয়েছে।
এখন বিসিবির দায়িত্ব হচ্ছে, ক্রিকেটের মর্যাদা রক্ষা করা । তাই এ মামলার তদন্ত চলাকালীন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে প্রত্যাহার করতে হবে। আর এ মামলার তদন্তে সহায়তা করার জন্য সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় বিধান অনুসারে সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত রেখে বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি রেফার করতে হবে। সাকিবকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে নোটিশে বলা হয়েছে।
গত ২২ আগস্ট গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সাকিব আল হাসানকে এ হত্যা মামলার ২৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মামলার ২৮ নম্বর আসামির ঠিকানা লেখা রয়েছে মো. সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), বাবা মাশরুর রেজা। ঠিকানা হিসেবে দেওয়া হয়েছে মাগুরার নতুন বাজারের সাহাপাড়া এলাকা। এছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে নিহত গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।