দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের ৩টি সংসদীয় আসনে ১৯ জন প্রার্থীকে নির্বাচনীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া  হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ উল্যাহ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করেন। এসময় নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীরা উপস্থিত থেকে প্রতীক গ্রহণ করেন।
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে মোট ৫ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়, এদের মধ্যে মো. মোতাহার হোসেন (নৌকা-আ’লীগ), হাবিব মোঃ ফারুক (মশাল- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাসদ),মো. আজম আজাহার হোসেন (মোমবাতি- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কে এম আমজাদ হোসেন তাজু (ট্রাক- স্বতন্ত্র প্রার্থী),মো. আতাউর রহমান প্রধান (ঈগল-স্বতন্ত্র) কে প্রতীক দেওয়া হয়। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ১১৮ জন। এদের মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৫৫ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৬২ জন।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে প্রার্থী ৭ জন প্রার্থীকে প্রতীক দেওয়া হয়। এদের মধ্যে  নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা-আ’লীগ),মো. সিরাজুল হক (ঈগল-আ’লীগ স্বতন্ত্র),মো. রজব আলী (গোলাপফুল- জাকের পার্টি),মো. মমতাজ আলী শান্ত (ট্রাক- স্বতন্ত্র), মো.দেলোয়ার হোসেন (লাঙ্গল- জাতীয় পার্টি),মো. শরিফুল ইসলাম (আম- ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি( এনপিপি) ও মো. দেলাব্বর হোসেন (ডাব- বাংলাদেশ কংগ্রেস) কে প্রতীক দেওয়া হয়।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ২ হাজার ৬৫ জন। এদের মধ্যে মহিলা ভোটার ২ লক্ষ ৩৬১ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ১ হাজার ৭০৪ জন।
এদিকে লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী ৭ জন প্রার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।  এরা হলেন, মো. মতিয়ার রহমান (নৌকা- আ’লীগ),মো. জাহিদ হাসান (লাঙ্গল- জাতীয় পার্টি), মো.আশরাফুল আলম (চাকা- বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল),  আবু তৈয়র মোঃ আজমুল হক পাটোয়ারী পুতুল (মশাল- জাসদ), মো.শামীম আহাম্মেদ চৌধুরী (সোনালী আশঁ-তৃনমুল বিএনপি),  শ্রী হরিশ চন্দ্র রায়, (আম- ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি(এনপিপি) ও মো. জাবেদ হোসেন বক্কর (ঈগল- স্বতন্ত্র)।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫৭২ জন। এদের মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৬০ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২১১ জন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে বৈধ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে শুরু করেছেন। আচরণ বিধি মেনে যাতে সবাই প্রচারণা চালায় সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আচরনবিধি মানাতে ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।