লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের চওড়াটারি গ্রামের মৎস্য চাষী কাচু মিয়ার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে তিন লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে কে বা কাহারা মাছ নিধনের বিষ প্রয়োগ করে ওই পুকুরে। পুকুরের মাছ মরে পচে গিয়ে ভেসে উঠলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের চওড়াটারি গ্রামের কাচু মিয়া অন্যের পুকুর নিজ নিয়ে দীঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলো।পুকুরের মাছ চাষ করে চলতো তার সংসার। সোমবার রাতে কে-বা কাহারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেন এতে তার পুকুরের রুই,কাতলা,মৃগেল,সিলভারকাপ সহ সমস্ত মাছ মরে পচে যায়।ঘটনার পর থেকে পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির গভীর জ্বলের মাছ মরে ভেসে ওঠে। জানাজানি হলে আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসে। অনেকেই পচে যাওয়া এসব মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পরে মৎস্য চাষী কাচু জাল টেনে পচা মাছ তুলে ফেলেন।
মঙ্গলবার সকালে পুকুরে ভেসে উঠে মরে যাওয়া মাছ। মঙ্গলবার কাচু মিয়া বাদি হয়ে আদিতমারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে লিখিত অভিযো্গ দায়ের করেন।
মৎস্য চাষী কাচু মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। আমার পারিবারিক অবস্থা ভালো না আমি অন্যের পুকুর নিয়ে মাছ চাষাবাদ করি। গরিবের ভালো কেউ দেখতে চায় না। কোনদিন না খেয়ে থাকলেও কেউ খোঁজ খবর নেয় না। আমার পরিবারে বাবা-মা সহ সবাই আমার উপর নির্ভরশীল মাছ চাষ ও ইটের ব্যবসা করে আমার সংসার চলে। ব্রাক এনজিও থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করি এবং পূর্বের জমানো এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সহ মোট তিন লক্ষ টাকা লিজকৃত পুকুরের পিছনে ব্যয় করি। আমার পুকুরের মাছ ধ্বংস হওয়াতে এখন আমি নিঃস্ব প্রায়।
আদিতমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। উনাকে পরামর্শ দিয়েছি। সার্বিক খোজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।