লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গায় মাহমুদা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূর গায়ে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ননদ আছিয়া বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৪জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে টংভাঙ্গায় নিজ বাড়ি থেকে ননদ আছিয়া বেগমকে আটক করে থানা পুলিশ।গতকাল বুধবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাহমুদা ওই গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে হামিদুলের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ছয় বছর আগে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পিওরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মালেক মিয়ার মেয়ে মাহমুদা ও হামিদুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো মাহমুদার। এ নিয়ে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন তিনি। তাদের সংসারের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে আবার শ্বশুর আতোয়ার, শাশুড়ি হামিদা বেগম ও ননদ আছিয়ার সঙ্গে ঝগড়া বাধে মাহমুদার। এসময় এসিড ছুড়ে মারলে ওই গৃহবধূর শরীরের অনেকটা অংশ ঝলসে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মাহমুদার বাবা মালেক বাদী হয়ে রাতেই আটজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আহত মাহমুদার ননদ আছিয়া বেগমকে আজ সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মাহমুদা বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। আমাকে একা পেয়ে মেরে ফেলার জন্য তারা সবাই মিলে আমার শরীর এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূকে এসিড দেওয়ার ঘটনায় তার ননদ আছিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।