লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময় বিকাশ এজন্ট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে ছিনতাইয়ের অন্যতম হোতা শান্ত মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এছাড়াও কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যের বাড়িতে ফেন্সিডিল পরিবেশনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী স্বপ্না বেগম ও তার ছেলে শাহীন আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২১ এপ্রিল রাত পৌনে একটার দিকে কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামের কাঁচা রাস্তার উপর বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আইয়ুব (৪০) কে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলা করে ধারালো রাম দা দিয়ে বাম কাধ হতে থুতনি এবং বাম কানের মাঝামাঝি হতে নাক পর্যন্ত ও ঘাড়ের মাঝামাঝি কোপ মারলে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আমিনুর ইসলাম লাভলু কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে এই মামলার মূল আসামী আশরাফুল আলম ওরফে আফতাবুল (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপর আসামী শান্ত মিয়া (২৫) কে প্রযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার সালনা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানিক মিয়া, রসুল মিয়া, ওমর ফারুক , জাহাঙ্গীর আলম মুনশি এদের সবার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলায় ।এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়,গত ১২জুন কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের ইউপি সদস্য বাদশা মিয়ার বাড়িতে মাদকের আসর বসিয়ে মাদকসেবনকারীদের ফেন্সিডিল পরিবেশন করান ইউপি সদস্যের স্ত্রী স্বপ্না বেগম। এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।এরপরেই থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্যের স্ত্রী স্বপ্না বেগম ও তার ছেলে শাহীন আলমকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপদ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(হেড কোয়াটার) আতিকুল হক,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সাকেল) মারুফা জামাল,টিআই সাকাতুল বারী,সদর থানার ওসি শাহাআলম, কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুল, ওসি তদন্ত গুলফামুল ইসলাম মন্ডল,কোট পুলিশ ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান চৌধুরী সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।