1. admin@amaderpotrika.com : admin :
  2. anisurladla71@gmail.com : Anisur :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা গত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চান না আসাদুজ্জামান নূর কারাবাসের ২৩ বছরে হারালেন মা-বাবা-সংসার, রেখার আশ্রয় বোনের বাড়িতে লালমনিরহাটে যমুনা টিভির প্রতিষ্ঠাবাষিকী পালিত লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন শ্যামল লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নিখোজের পরদিন তামাকের ক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার লালমনিরহাটের চন্দ্রপুরের বেলতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত -আহত-২ লালমনিরহাটে দাঁড়ানো যাত্রীবাহি ট্রেনে ইঞ্জিন লাগাতে গিয়ে ধাক্কা, আহত অর্ধশত যাত্রী লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আহত। স্বাধীনতা দিবসে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপির শ্রদ্ধা

ফেসবুক ও টিকটকে পরিচয়ে প্রেম বিয়ে অতপর : ভারতে পাচার যুবতীকে, স্বামীকে প্রধান করে থানায় মামলা

পাটগ্রাম(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার (২৫) সাথে তিন বছর আগে পরিচয় হয় পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের রুকশিপাড়া এলাকার যুবতীর (২২)। পরিচয়ের সুবাদে ভালোবাসার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিক সোহেল ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায় প্রেমিকা যুবতীকে। এ সময় তাঁকে (যুবতীকে) আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে প্রেমিক সোহেল। পরে বিয়ে করেন তাঁরা। এবার আবারও সোহেলের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় চলতি মাসের ১২ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন দিয়ে ভারতে পাচার করা হয় ওই যুবতীকে। এক সপ্তাহ পর কৌশলে বাংলাদেশে ফিরে আসে ওই যুবতী। এ ঘটনায় ওই নারী স্বামীকে প্রধান আসামীসহ ও মোট ৫ জনকে আসামী করে পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন/২০০৩) ও মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন ২০১২ মোতাবেক গতকাল ২১ মে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। আসামীদের মধ্যে পুলিশ তিনজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। পাটগ্রাম থানার ওসি এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২১ সালের মার্চে প্রেমিক সোহেল তাঁকে (ওই যুবতীকে) সাতক্ষীরা সীমান্তপথে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। এ সময় আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করতে তাঁকে বাধ্য করা হয়। ৮—৯ মাস পরে কলকাতা থেকে পালিয়ে একই পথে দেশে ফিরে আসে পাচারের শিকার যুবতী। কিছুদিন পর প্রেমিক সোহেলও ফিরে আসে। এ ঘটনায় নিজ থানায় মামলা করার চেষ্টার সময় সোহেল ভুল স্বীকার করে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ওই যুবতীকে হবিগঞ্জে কোর্ট ম্যারেজ করেন। এরপর থেকে শ্বশুরবাড়িতে সংসার করাকালীন নানা প্রলোভনে সোহেল তাঁর স্ত্রীসহ ভারতে কাজের জন্য যেতে ও সেখানে সংসার করতে আলোচনা করে।এরই মধ্যে অন্ত:সত্বা হন ওই নারী। প্রথমে স্ত্রী (ওই নারী) ও পরে সে নিজে (সোহেল) পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতে পাচারকারী চক্রের সাথে যোগাযোগ করে। ভারতে যেতে দহগ্রামের সীমান্ত পারাপারকারীদের সাথে কথা বলে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে ভুটুয়া (৩৫), একই ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মোকছেদুল হক (৩২), ফন্দুর বাড়ি এলাকার আব্দুর রহমান ওরফে ঘুঘুমারার ছেলে ফরিদুল ইসলাম ফজলু (৩৩) ও পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ গ্রামের জুম্মাপাড়া এলাকার শফিক হোসের স্ত্রী চম্পা বেগমের (৩৫) সাথে যোগাযোগ করে গত ১২ মে  ওই নারীকে চম্পা বেগমের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সোহেল। ওইদিন পাটগ্রাম সদর হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মোটরসাইকেলযোগে মোকছেদুল হক তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন ১৩ মে ভুট্টা খেত দিয়ে মোকছেদুল ও আশরাফুল তিনবিঘা করিডরের বিপরীতে ভারতীয় গ্রামের গণেশের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। গণেশ পরদিন ১৪ মে কারযোগে শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতার জনৈক সুকুমারের নিকট নিয়ে যায়। এদিন সুকুমার ওই নারীকে একটি হোটেলে নিয়ে বলে, তাঁকে (ওই নারীকে) তাঁর স্বামী দেহ ব্যবসার জন্য তাঁদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছে।এ ঘটনা জানার পর ওই নারী বাংলাদেশের আশরাফুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। তাঁকে (ওই নারীকে) ফিরিয়ে আনার জন্য আশরাফুল ২০ হাজার টাকা দাবি করলে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে পরদিন ১৫ মে কৌশলে হোটেল থেকে পালিয়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে গণেশের বাড়িতে ফিরে আসে। ১৭ মে ভারতের গণেশ বাংলাদেশের পাটগ্রামের আশরাফুল ও মোকছেদুলের নিকট ওই নারীকে পৌঁছে দেয়। আশরাফুল ইসলাম ভুটুয়া মোটরসাইকেলযোগে ওই নারীকে পাটগ্রাম পৌরসভার চম্পার বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় পাচারের শিকার ওই নারী তাঁর স্বামীর সাথে কথা বলে টাকা চাইলে, তাঁর স্বামী টাকা দিতে অস্বীকার করে, এ কারণে তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর ওই নারী কৌশলে চম্পার বাড়ি হতে পালিয়ে ২০ মে রাতে পাটগ্রাম থানায় আশ্রয় নেয় ও পরদিন ২১ মে উল্লেখিতদেরকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই নারী উল্লেখ করে—ভারতে নিয়ে যাওয়ার সময় পাটগ্রামের দহগ্রামে এবং ভারত থেকে ফিরে পাটগ্রামে আসার সময় আশরাফুল ইসলাম ও মোকছেদুল হক একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আশরাফুল ইসলাম ভুটুয়া, মোকছেদুল হক ও চম্পা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিযাতিতা ওই নারীকে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে থানার ওসি জানান।

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে রোববার সকালে সোপদ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকে ধরতে জোড় প্রচেষ্টা চলছে।’

লালমনিরহাট কোট ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন,বিজ্ঞ আদালত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরনের নিদেশ দেন।বিকেলে তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD