লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। আমরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতা দেখতে পাইনি। কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর ২০২৪ এ এসে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দেখতে পেয়েছি। আমাদের এই কাঙ্খিত স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গণমাধ্যম। তাই বৈষম্য বিহীন বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে সংবাদপত্র।
মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে র্যালী, কেককাটা শেষে স্মৃতি আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র তৈরির কারিগর সাংবাদিকরা। সকাল বেলা একজন মানুষ চা খেতে গেলে যে চিত্র ফুটে উঠে সংবাদ মাধ্যমের উঠে আসে।
পুলিশ সুপার বলেন, সকলের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে,মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ভালো পথে ফেরানোর জন্য সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন। সবাইমিলে তার দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করাতে পারলে ভুল পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। আলোকিত লালমনিরহাট পুলিশের একার পক্ষে গড়া সম্ভব না। আলোকিত লালমনিরহাট গড়তে হলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করি লালমনিরহাটবাসী স্বস্তিতে থাকবে, শান্তিতে থাকবে। পুলিশের একার পক্ষে মাদক নির্মুল করা সম্ভব নয়। সকলে সচেষ্ট ভুমিকা রাখতে হবে। একটি সুন্দর দেশ গঠনে ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি,যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা–র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি আর সরোয়ার, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা, কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রুহুল আমিন, এনটিভি রংপুর এর সিনিয়র রির্পোটার একে এম মঈনুল হক। উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ আবদুল আলিম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তিতাস আলম,আদিতমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরহাদ আলম সুমন প্রমূখ।