লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গরপোতা সীমান্তে বিএসএফএ’র ককটেলের আঘাতে রফিউল ইসলাম টিকলু (৩৩) নামে এক বাংলাদেশির মারা গেছেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ওই সীমান্তের ১নং মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। রফিউল ইসলাম টুকলুর মরদেহ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা যায়।
নিহত ব্যক্তি পাটগ্রামের বঙ্গের বাজার এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র। ধারণা করা হচ্ছে চোরাকারবারি করতে গিয়ে সীমান্তের ওপারে গিয়েছিলেন তিনি।
৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের সুবেদার আমানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরো বলেন, এনিয়ে বিএসএফ’কে প্রতিবাদ পত্র দেয়া হয়েছে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আঙ্গোরপোতা সীমান্তে বিএসএফের সাথে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।আগামীকাল লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের লাশ হস্তান্তর ফেরত দিতে পারে ভারতীয় পুলিশ।
জানা যায়, আজ সকাল ৭টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গরপোতা সীমান্তের ১নং মেইন পিলারের কাছাকাছি ভারতীয় অংশ চোরাচালানী পন্য আনতে যায় টিকলুসহ আরো ৪জন। পন্য নিয়ে ফেরার সময় আঙ্গরপোতা সীমান্তের ১নং মেইন পিলারের সাব পিলার -১ হতে ভারতের দেড়’শ গজ অভ্যন্তরে ডাঙ্গাপাড়া নামক স্থানে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ৬বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে । বিএসএফের ছোড়া ককটেলটি রফিউল ইসলাম টিকলুর মাথায় পড়ে বিস্ফোরন ঘটে এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।তার সাথে যাওযা অন্যান্যরা পালিয়ে আসে। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, টিকলুর মরদেহ ভারতীয় পুলিশ নিয়ে গেছে।
দহগ্রাম ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় হয়তো তিনি চোরাচালানের সাথে যুক্ত ছিলেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।