জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন এবং ১৪ দলকে ৬ আসনে ছাড় দিল আওয়ামী লীগ। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি আমাদের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ আসনে প্রার্থী প্রত্যাহারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমানের আসনে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এটিও জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য মোট ২৬টি আসন ছাড়া হয়েছে।
২৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হলেন
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জিএম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার,বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু,মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান।
৬ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীরা হলেন
ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি ও জাসদকে তিনটি এবং জাতীয় পার্টিকে (জেপি) একটি আসন দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বরিশাল-৩, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ জোটের প্রার্থী হয়েছেন।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন বগুড়া-৪ ও মোশাররফ হোসেনকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ছাড় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আর জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসনে জোটের প্রার্থী হচ্ছেন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে আগে থেকেই কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।