লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া সীমান্ত থেকে খালেক মাহমুদ শান্ত (১৮) নামে এক বাংলাদেশি কলেজছাত্রকে আটক করার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন।এর আগে বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ।
আটক খালেক মাহমুদ শান্ত উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী কবিরাজের ছেলে। তিনি হাতীবান্ধা এসএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজের বিএম শাখার উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান,হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যান শান্তসহ কয়েকজন যুবক। এ সময় বিএসএফের নীলাপাড়া ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। বাকিরা পালিয়ে এলেও শান্তকে আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফ।
শান্ত বাবা রমজান আলী কবিরাজ বলেন, আমার ছেলে কলেজে পড়লেও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। শুনেছি আমার ছেলেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে ভারতের মাথা ভাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ছাড়া সুস্থ মানুষ রাতে সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে যায় না। শান্তকে আটক করার বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিংগীমারী ক্যাম্পের ইনচার্জ নাসির হোসেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
বিজিবি–৬১ তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।