নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুনসন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচনবিমুখ করতে পারেনি। জনগণ পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দেওয়ার জন্য তারা উন্মুখ হয়ে আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে। সারা দেশে উৎসাহ–উদ্দীপনা, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের যে আগ্রহ, চক্রান্ত–ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করা যাবে না। কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ডাকে তাদের নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কিনা এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুলনীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। বিএনপির কেউ যদি দল পরিবর্তন করলে তার ব্যক্তিগত বিষয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচন এলে ভারত ও আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা হয়। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।