লালমনিরহাট -৩(সদর) আসনে বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠের নেতা অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের বিকল্প নেই। সংগঠন গোছাতে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারদের।
লালমনিরহাট-৩(সদর) আসনে দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক ভাবে হতাশ হয়েছেন নেতাকমীরা। দলের নেতাকর্মীরা এবার সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থী মাঠের নেতা অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।
এ কারনে সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট -৩(সদর) আসনে  নৌকার মাঝির দায়িত্ব দিতে অ্যাডভোকেট মতিয়ারের সমর্থনে হাজার হাজার জনগন মাঠে নেমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানায়।
সোমবার দুপুর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটাররা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জড়ো হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের সমর্থনে বিশাল একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শহরের মিশনমোড় চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে মাঠের নেতা অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে লালমনিরহাট -৩(সদর) আসনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করার জোড় দাবি জানান।
জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের মনোনয়ন পত্র নিশ্চিত করতে জেলা আওয়ামীলীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ সাংগঠনিক চিঠি কেন্দ্রে প্রেরন করার কথা জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে লালমনিরহাট-৩(সদর) আসনে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা স্বপন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
বরাবরের মতো এবারে জোটগত ভাবে জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে না দিলে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান অথবা সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি এবার মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জোড় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবীর জানান, যে মানুষটির দিন শুরু হয় দলীয় নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধান করতে আর রাতে ঘুমাতে যান নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা করে সেই মানুষটিকে আমরা এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চাই। আমাদের এই মাঠের নেতা দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করার কাজটি সুনিপুন ভাবে করে যাচ্ছেন। আমাদের অভিভাবক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবী ও প্রত্যাশায় ইতিমধ্যে কেন্দ্রে আমাদের মতামত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন,সারা দেশের রাজনৈতিক মাঠের চিত্র একরকম হলেও লালমনিরহাট সদর আসনটি একটু ব্যাতিক্রম।লালমনিরহাট সদর আসনটি বিএনপির হেভিয়েট নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নিজ নির্বাচনী এলাকা হবার সুবাদে এখানে দলীয় নেতা কর্মীদের অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে নেতা কর্মীদের অনেক বেশী চাপ নিতে হয়। দলীয় নেতা কর্মীদের সেই চাপ মাথায় নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক অ্যাডভোকেট মতিয়ার ভাই সংগঠন গুছিয়েছেন। তার শ্রমের ঘাম, অর্থ, মূল্যবান সময়ের বিনিময়ে তিনি এখানে সংগঠনটি শক্তিশালী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাকে রাজনৈতিক ভাবে মূল্যায়ন করা না হলে এই আসনে সংগঠনটি মারাত্মক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। মতিয়ার রহমান মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে যতটা সহজ হবে অন্য কাউকে দিয়ে সেটি অত সহজ হবে না। দলের ঐক্যের স্বার্থে আমরা অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের মনোনয়ন চেয়েছি। আমাদের আস্থার প্রতীক দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের স্বার্থে যার হাতে নৌকার বৈঠা তুলে দিবেন  দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আমরা তার পক্ষে নৌকার কাজ করবো।