১৯৫২ সালে লালমনিরহাটে গঠিত ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নওদাবাস গ্রামের নিজ বাড়িতে বার্ধক্য জনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার কন্যা, আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। আগামীকাল ২০মে রোববার সকাল দশটায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নওদাবাস গ্রামের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তার পরিবার জানান।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহমেদ গত ২১ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হতে পারেননি।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় জহির উদ্দিন আহম্মদ ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। লালমনিরহাটে গঠিত ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন জহির উদ্দিন আহম্মদ। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হরতাল সমর্থনে জহির উদ্দিন আহম্মদ এবং ভাষা সংগ্রাম পরিষদের কয়েকজন সদস্য লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে লালমনিরহাট থানা পুলিশ তাঁদের গ্রেফতারের জন্য বিদ্যালয় গেটে আসলে প্রধান শিক্ষক পুলিশকে বিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় পুলিশ বাহিরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যান। পুলিশি গ্রেফতারেরর নতুন কৌশল এড়াতে ছাত্রনেতাগণ বিদ্যালয়ের পিছনে সুইপার কলোনি দিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁরা চিহ্নিত হলে পুলিশ কারণে-অকারণে তাঁদের ধরে এনে লালমনিরহাট থানায় আটকে রাখা শুরু করলে তাঁরা বাধ্য হয়ে আত্মগোপন করে আন্দোলন চালিয়ে যান।