লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ঝড়ের কবলে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ও গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, অতিরিক্ত দায়িত্ব) সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওজাতুন জান্নাত।
এর আগে গত ১৫মে রোববার রাতে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের কুটিরপাড়, বালুরবাঁধ এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এছাড়াও উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলেজের আধাপাকা টিনসেড ভবনের কয়েকটি রুমের টিন পড়ে যায়।
জানা গেছে,গতকাল রোববার রাতে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। নদী তীরবর্তী এলাকায় ঝড়ের বেগ বেড়ে যাওয়ায় আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ে কুটিরপাড়, বালুর বাঁধ, চৌরাহা, গোবর্দ্ধন প্রভুতি গ্রামের প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনেক গাছপালা উপড়ে পড়ায় ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কুটিরপাড় গ্রামের গৃহবধূ মুনমুন বেগম জানান, কাজের সন্ধানে স্বামী কুমিল্লায় থাকায় বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে একা থাকছেন তিনি। রাতে হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে তার ঘর লণ্ডভন্ড হয়ে গেছে। সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে চরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রন্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দ্রুত তৈরি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রওজাতুন জান্নাত। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনবাসন করার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম ও মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছেন। তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনবাসনে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।