নদীর চরে বন্ধুকে ডেকে হত্যার পর মরদেহ বালুর নিচে পুতে রেখেও রক্ষা হয়নি বন্ধুর।গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আইউব। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার চিলকুড়া এলাকা হতে অটোবাইক চালক বন্ধু রফিকুল ইসলামকে (২২) নিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে একই এলাকার আইউব আলী (২৬) পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে শ্বশুরবাড়ি ও সৎ ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওইদিন বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরে দুই বন্ধু আইউব ও রফিকুল ঘোরাঘুরি করে ও ছবি ভিডিও অন্যান্য বন্ধুর মোবাইলে পাঠায়। শুক্রবার রাতে দুই বন্ধু আবারও নদী এলাকায় সীমান্ত পিলার নং-ডিএএমপি ৬/৬ এস পিলারের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যায়। এ সময় দুইজনই ভারতীয় মদ পান করে। একপর্যায়ে আইউব রশি দিয়ে রফিকুলের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ তিস্তা নদীর চরে বালুতে পুতে রাখে। এ ঘটনার গোপন খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা ও দহগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ যৌথভাবে নদীর চর এবং বালুর নিচ থেকে রফিকুলের লাশ উদ্ধার করে। রাতই দহগ্রামে অভিযান চালিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার লাটেরহাট ইউনিয়নের চকদফর গ্রামের ইনছান আলীর ছেলে আইউব আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে হত্যাকান্ডের শিকার রফিকুলের বড় ভাই আমজাদ আলী বাদী হয়ে আইউব আলীকে আসামী করে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘উদ্ধারকৃত যুবকের লাশ ময়না তদন্তের শনিবার সকালে জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রফিকুল ইসলামকে হত্যা করে তার অটোবাইকটি নেওয়ার পরিকল্পনায় এ হত্যাকান্ড।