বীর মুক্তিযোদ্ধারা কারও করুনায়, কোন কিছুর বিনিময়ে যুদ্ধে অংশ নেয়নি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সমাজ সব কিছু ছেড়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছে। রোববার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,এদেশের সাত কোটি বাঙ্গালীর অনুপ্রেরণায় আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। কিন্তু কিছু চক্র স্বাধীনতা নিয়েও ষড়যন্ত্র করে আসছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর চেস্টা করেছিলো কিন্তু সচেতন বাঙ্গালী তা হতে দেয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলতে পেরে নিজের গর্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাই সকল ষড়যন্ত্রে আবারও মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা লাফিয়ে পড়বে। পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরদের কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।
এতে উপজেলার আট ইউনিয়নের ৩২০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে ইফতার ও সম্মানী প্রদান করা হয়।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আদিতমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হামিদ মোল্লা, আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওজাতুন জান্নাত প্রমুখ।পরে তিনি উপজেলার সাপ্টিবাড়িতে এক সমাবেশে ভিক্ষকদের রিকশা এবং দুস্থ,অসহায় ও অসুস্থ মানুষদের মাঝে চেক বিতরন করেন।