লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মোগলহাট জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত ঘেষা ধরলা নদী থেকে শুক্রবার সকালে ৭১ এর খোঁজে নদী যাত্রা শুরু করলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর মোঃ আনোয়ার হোসেন একটি ইঞ্জিন চালিত দেশি নৌকায়। ৭১ এর খোঁজে নদী যাত্রা পথটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত ঘেষা মোগলহাট ধরলা, তিস্তা ব্রম্মপুত্র ও যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে গিয়ে শেষ হবে। আগামী (৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল বা সন্ধ্যায় ৭১ এর নদী যাত্রার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে বলে আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মোগলহাটের জিরো পয়েন্টে ধরলা নদী থেকে ৭১ এর নদী যাত্রা শুরু হওয়ার সময় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সাথে আছেন মোগলহাটের সন্তান বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের উপ পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আলম, নদীকে ভালোবাসেন গ্রামের কৃষকদের সাথে গভীর নৈকট্য আছে এমন দুজন, রানা ঠাকুর এবং জিয়াউদ্দিন রাজ্জাক অপু ও চির বিপ্লবী সৈয়দ বাহারুল হাসান সবুজ। দীর্ঘ নদী যাত্রা পথে ইঞ্জিন চালিত দেশি নৌকার মাঝি হিসেবে আছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির শিমুল বাড়ির ওবায়দুল হক ও মাহাবুল হক। এ দিকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর মোঃ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ৭১ এর নদী যাত্রার নাম করণসহ পটভূমির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭১ এর নদী যাত্রা এই শিরোনামটি প্রস্তাব করেছিলেন লালমনিরহাটের প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবদুর রব সুজন। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭১ এর জনযুদ্ধে গ্রাম বাংলার জনসাধারণ যারা সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ করেছেন, বিনিময়ে তেমন কিছুই পাননি, তাদের কথা শুনতে এই নদীযাত্রার কথাই তো বলেছিলেন কর্ণেল আবু তাহের, বীর উত্তম। স্বাধীন বাংলায় যখন ফাঁসির মঞ্চে তিনি দাড়িয়েছেন, তখনও কারাগারের উচু দেয়াল অতিক্রম করে বিপ্লবী তাহেরের স্বপ্নময় দৃষ্টি বাংলার নদী, মাঠ ও বঞ্চিত নিপীড়িত দরিদ্র জনসাধারণের উপর পড়েছিল, যাদের মুক্তির জন্য অকাতরে তিনি জীবন উৎসর্গ করলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও তাই ৭১ এর খোঁজে নদী যাত্রায় আমরা সামিল হয়েছি। চলতে চলতে আমরা থামবো, কথা বলবো সেই সব মানুষের সাথে, যাদের কথা অনেকেরই হয়তো বহুদিন শোনা হয়নি। আমরা তা আপনাদের জানাতে থাকবো।
এ দিকে শুক্রবার মোগলহাটের ধরলা নদীতে ভিন্ন একটি নৌকায় থাকা স্হানীয় ফলিমারীর চরের আশিউর্ধ বয়স্ক আফসার উদ্দিন ৭১ এর খোঁজে নদী যাত্রার নেতৃত্ব দানকারী প্রফেসর ডক্টর মোঃ আনোয়ার হোসেন এর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তি যোদ্ধা গণকে ধরলা নদী পাড় করেছি, নৌকা দিয়ে। ভারতের অংশের ধরলা নদী তীরে নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় থেকেছি কখন কোন মুক্তি যোদ্ধা বা বাঙালি কে নদীর এক পাড় থেকে আরেক পাড়ে পৌঁছাতে হয়। আমাদের কথা কেউ শোনে না। মূল্যায়ন করে না। এখন বয়স হয়েছে নৌকার কাজ করতে পারি না। আফসার উদ্দিনের বক্তব্য ৭১ এর খোজে নদী যাত্রার ভিডিও টিম ভিডিও চিত্র ধারণ করে।