লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেবা প্রত্যাশী এক নারীর সাথে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার ও হয়রানী এবং পোশাক নিয়ে কুটক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই সেবা প্রত্যাশী।
রোববার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম এলাকায় নিজ বাড়ীতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭অক্টোবর তার অসুস্থ মা আমেনা শিরিনের চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট করতে মায়ের এনআইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র) সংশোধনের জন্য অনলাইনে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে তার মা আমেনা মুস্তাযীরসহ তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবা রহমান বলেন, আপনার মায়ের এসএসসি সার্টিফিকেট যেহেতু ঢাকা বিভাগের সেহেতু সেটি জাল সনদ কি-না সেটি যাচাই করতে হবে। এসময় সেবা প্রত্যাশী এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্না বলেন, এটি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেহেতু এটি আমার করা ঠিক হবে না। আমি যাচাই করে নিয়ে আসলে আবারও আপনি জাল বলতে পারেন। তাই যাচাই করতে হলে আপনাকেই করতে হবে। এসময় তিনি সনদ যাচাইয়ের জন্য ৫/৬ হাজার টাকার দরকার বলে ওই কর্মকর্তা দাবী করেন। কোন কোডের মাধ্যমে ওই ৫/৬হাজার টাকা জমা দিতে হবে সেটি জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আদেশটি দেখলে চাইলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকার করেন। এসময় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণসহ আমার কোর্টের বোতাম খোলা নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন। এসময় তার অসুস্থ বৃদ্ধা মা আমেনা মুস্তাযীর উপস্থিত ছিলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবা রহমানের সংগে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ওনাকে আমি চিনি না।উনি সেবা নিতে অফিসে এসেছিলেন।উনি যে কাজের জন্য এসেছিলেন সে কাজও করে দিয়েছে।