1. admin@amaderpotrika.com : admin :
  2. anisurladla71@gmail.com : Anisur :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আগামী দুই মাসের জন্য সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের। ‘আমার কলিজার কলিজা কাটতে দিব না’ ভারতে ঘুরতে গিয়ে ভারত বিরোধী পোষ্ট দেওয়ার অভিযোগে, বাংলাদেশী যুবকের ভিসা বাতিল হাটহাজারীর সাবেক ওসি তিন দিনের রিমান্ডে সহযোগিতা করুন, একসঙ্গে সংস্কার করব: ড. ইউনূস সংস্কারের ছয় কমিশনের নেতৃত্বে যে বিশিষ্টজনেরা ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিস্ট সকল শক্তির কবর রচনা করবে–লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম তারেক লালমনিরহাটে নবাগত পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের সম্মান জানাবে সরকার স্বস্তি ফিরেছে আশুলিয়ায়, কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার সংকটের কারনে বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাণিজ্যে ভাটা, কমেছে রাজস্ব আয়

পাটগ্রাম(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

একদিকে ডলার সংকট অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা  এর কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সকল প্রকার বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। কমেছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আদায়। একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশন সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানায়।

জানা গেছে, আমদানির লক্ষ্যে তফশিলী ব্যাংক হতে পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদানে প্রত্যয়নপত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। কয়েকমাস আগে চাহিদা অনুযায়ী আমদানি পণ্যের মূল্যের ২০ থেকে ২৫% ভাগ নগদ অর্থ ব্যাংকে জমা দেওয়া হলে ব্যাংক পুরো অর্থ পরিশোধের দায় নিয়ে আমদানিকারককে প্রত্যয়ন দিত। পণ্য এনে (আমদানি) বিক্রি করে শর্তানুযায়ী অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা দিত আমদানিকারকেরা। কিন্তু এ সুযোগ এখন দিচ্ছেন না ব্যাংক গুলো। একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানায়, ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ও দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ঠিক রাখতে ব্যবসায়ীদেরকে কম এলসি দেওয়া হচ্ছে।’ ব্যবসায়ীরা দাবি করেছে ব্যবসা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো-ডলার সংকট। চাহিদা অনুযায়ী ডলারের অভাবে এলসি না পাওয়ায় ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যে ডলার দরে পণ্য আমদানি করা হলো, পরবর্তীতে ডলারের দর বৃদ্ধির কথা বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা নেয়। এতে পণ্য আমদানি করে লাভ নয় বরং লস (ক্ষতি) হচ্ছে। এ কারণে অনেক আমদানিকারক পণ্য আমদানি না করায় ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। অপরদিকে রাজনৈতিক সহিংস অস্থিরতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুণ দেওয়ার ঘটনায় ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে রাজি নয় অধিকাংশ আমদানি-রপ্তানিকারক। অপরদিকে চালকেরাও দূর-দূরান্তে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে যেতে ও আনতে নিরাপত্তার শঙ্কায় গাড়ি চালাতে অনীহা জানানোয় কমেছে গাড়ির সংখ্যা।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেরি শিপিং লাইন্সের স্বত্তাধিকারী রেজাউল করিম রেজওয়ান বলেন, ‘ডলারের বাজার স্থিতিশীল নাই। পণ্য আমদানি করছি যে দরে পরে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডলারের দাম বেশি নিচ্ছে। এতে ব্যবসায় মন্দাভাব। রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা দায়ি।’

একই স্থলবন্দরের রাইসা এন্টার প্রাইজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারী আবু সাঈদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার সংকট। তাছাড়া ডলারের দর ঠিক নাই। একেক ব্যাংকে একেক দর। ব্যবসায় লস হচ্ছে। উল্টাপাল্টা দরের কারণে এলসি বন্ধ রাখছি।’

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পাটগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, এভেইল্যাবল (সহজে) এলসি দেওয়া হচ্ছে না। পণ্যের গুরুত্ব ও চাহিদা বুঝে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা ভালো ব্যবসা করেছে, লেনদেন ভালো তাঁদেরকে ঠিকই এলসি দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশনা রয়েছে ৭৫% নগদ ক্যাশে ও ল্যাক্সারী (সৌন্দর্যবর্ধক) পণ্যে শতভাগ নগদ টাকা দিয়ে এলসি দিতে। তাছাড়া আমরা যখনই এন্ট্রি দিবো, তখনই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস্ দেখতে পাবে। নির্দেশনার বাইরে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।’

একই কথা বলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, বুড়িমারী শাখার ব্যবস্থাপক সুজাহ্ আলী। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ডলারের ক্রাইসিস (সংকট)। আমরাও ভুক্তভোগী। এলসি দেওয়া হচ্ছে, এভেইল্যাবল না। আমাদের প্রধান কার্যালয় হতে যাঁরা ডলার ম্যানেজমেন্ট করে তাঁদের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে এলসি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে আমদানি পণ্যের পুরো টাকা জমা দিতে হয়।’

বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস্) সূত্র জানায়, ডলারের সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমেছে। গত ১ অক্টোবর হতে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানিকৃত গাড়ির সংখ্যা ৪ হাজার ২৩৬টি ও খাদ্যশস্যের (ভুট্টা) গাড়ি এসেছে ১১৫ টি। রাজস্ব হয় হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। রাজনৈতিক অস্থিরতা তথা অবরোধ এবং হরতালের কারণে চলতি নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত পাথর ৩ হাজার ৬৫৫ গাড়ি এবং ৪৮ টি খাদ্যশস্যের (ভুট্টা) গাড়ি এসেছে। রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ। রাজস্ব কম আয় হয়েছে দেড়কোটি টাকা।

বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস্) উপকমিশনার (ডিসি) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ হতে জেনেছি ব্যাংক গুলো এলসি দিচ্ছে না। কিছু এলসি নিলেও শতভাগ নগদ টাকা নিয়ে দিচ্ছে। এলসি না হলে তো ব্যবসা হবে না। ডলার সংকট আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা কমেছে।’

 

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD