1. admin@amaderpotrika.com : admin :
  2. anisurladla71@gmail.com : Anisur :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আওয়ামীলীগ নেতা হুন্ডি সুমন খানের সম্পদ ক্রোক লালমনিরহাটে আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন লালমনিরহাটে গার্ল গাইডসের শীতবস্ত্র বিতরন লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়া ঘন কুয়াশা আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে লালমনিরহাটে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে ওয়াকাথন ও মুক্ত আড্ডা লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন ও আলোচনা সভা রাজনৈতিক সরকার ছাড়া দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় না- লালমনিরহাটে আসাদুল হাবিব দুলু বৈষম্য বিহীন বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে সংবাদপত্র : কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে- লালমনিরহাট পুলিশ সুপার দীর্ঘ ১৬ বছর বাজেট বৈষম্যের শিকার লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চল- কেমন লালমনিরহাট দেখতে চান” শীর্ষক সেমিনারে –অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি –পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

এমন পানি এবছর আর চোখে পড়েনি। গত দুদিন আগে এক হাজার টাকা খরচ করে শ্যালো মেশিন দিয়ে তিস্তার চরে আমন ধানের চারা রোপন করার পর হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা । এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেন (৫৫)। শুধু আফজাল হোসেনই নয়, এমন অভিযোগ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।এছাড়া রোপা আমন ক্ষেত,বীজতলা ও পাটক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।পানিতে ভেসে গেছে পুকুরে মাছ। তবে জেলা ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য দিতে পারেননি।

জানা গেছে, ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটের চারটি উপজেলায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চলের ১০ হাজার পরিবার । হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আতংক দেখা দিয়েছে নদী পাড়ের লোকজনের। সেই সাথে সেখানকার লোকজন আতঙ্কের পাশাপাশি একটি রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন।

 মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেঃমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে গত সোমবার বিকেলে নদীর পানি বিপদসীমার ২৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো।এতে ব্যারাজের ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা,কালীগঞ্জ,আদিতমারী ও সদর উপজেলার িনদী তীরবতী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে মানুষজন।

এদিকে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে জেলা সদর, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও পাটগ্রাম উপজেলায় নদীর তীরবর্তী ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 মঙ্গলবার সকালে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা পাড়ের লোকজন অনেকেই বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকেই তাদের গবাদিপশু নিয়ে উঁচু স্থানে গাদাগাদি করে অবস্থান করেছেন। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে সেখানকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সেখানে গোবরধন এম এইচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোবরধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গোবরধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সদর উপজেলার কালমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে কোমড় পরিমাণ পানি উঠায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সাথে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি যাওয়ার রাস্তায়ও হা্ঁটু পরিমান পানি উঠায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে বানভাসি মানুষদের।

মহিষখোচার আব্দুর রশিদ জানান,পানি বৃদ্ধির কারনে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।

 আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি বলেন, হঠাৎ করে রাতেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। তিনি আরো জানান, এবারের বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ,এর আগে আর কখনও এমন বন্যা দেখা দেয়নি।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের পানি বৃদ্ধি এলাকা পরিদর্শন করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি,আর সারোয়ার। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে সর্তক করার পাশাপাশি সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। এছাড়া বন্যাতদের জন্য ৩ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরনের জন্য বিভিন্ন উপজেলায় প্রেরন করা হয়েছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD