এবারে সাফের শুরুটা পাকিস্তানের বিপক্ষে কষ্টার্জিত ড্র (১–১) দিয়ে। নারী সাফের সেমিতে যেতে হলে বাংলাদেশের সামনে ছিল কঠিন সমীকরণ। পরের ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে করতে হবে ড্র। তবে আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বড় চমকই দেখিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ড্র নয়, বরং দাপটের সঙ্গে ভারতকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে লাল–সবুজ জার্সিধারীরা। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৩–১ গোলে। ফলে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ চারে নাম লেখালো বাংলাদেশ (চার পয়েন্ট)। অন্যদিকে হারলেও পাকিস্তানকে হারানোর সুবাদে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে সেমিতে খেলবে ভারতের মেয়েরা।
দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বার ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। গত আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ভারতকে গ্রুপ পর্বে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল সাবিনারা।
পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শুরুটা করেন আফিদা খন্দকার। পরে জোড়া গোল উপহার দেন তহুরা খাতুন। দুই পরিবর্তন এনে ম্যাচের একাদশ সাজান কোচ বাটলার। রক্ষণে কোহাতির কিসকুর জায়গায় মাসুরা পারভীন ও মাঝমাঠে স্বপ্না রানীর জায়গায় মনিকা চাকমার সঙ্গে জুটি বাঁধেন মারিয়া মান্দা।
১৮ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। নিখুঁত শটে ভারতের জাল কাঁপান আফিদা। জাতীয় দলের জার্সিতে আফিদার প্রথম গোল এটি। এর মিনিট তিনেক পর বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ঋতুপর্নার ক্রসে দারুণ গোল করেন তহুরা।
৪২ মিনিটে বাংলাদেশের স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ৩-০ তে। শামসুন্নাহার জুনিয়রের পাসে দৃষ্টিনন্দন কোনাকুনি শটে গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটেই ব্যবধান কমিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখে ভারত। রূপনা লাফিয়ে বলের নাগাল পেলেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি। আলগা বল হেডে জালে পাঠান বালা দেবি (৩-১)।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ছিল ভারত। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা রক্ষণভাগকে সুসংহত রাখে দারুণ প্রচেষ্টায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা গোলপোস্টে ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। ৬২ মিনিটে জয়তি চৌহানের জোরালো শট প্রতিহত করেন তিনি ফিস্ট করে। ৮০ মিনিটে স্বপ্না রানীর শট কোনো রকম প্রতিহত করেন ভারত গোলরক্ষক। একটু পর তহুরাকে তুলে কৃষ্ণাকে নামান কোচ। বাকি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি। শেষ বাঁশি বাজতেই সেমিতে ওঠার আনন্দে মেতে উঠেন সাবিনা-তহুরারা।