যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্ট শহরে গত সোমবার (২৯ জুলাই) ছুরি হামলায় দুই শিশু নিহত হওয়ার জেরে শুরু হওয়া দাঙ্গা পরিস্থিতি এখনও বিরাজমান।
ঘটনার দুই দিন পর সেই হামলায় জড়িত ওই তরুণ মুসলিম বলে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় মসজিদে হামলা করা হয়।
এই হামলার ঘটনা গুলো এখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ব্রিটেন জুড়ে।
বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন শহরে মুসলিম ও অবৈধ অভিবাসী বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের শহর মিডলসবোরোসহ অন্যান্য জায়গায় পরিবেশ খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। সেখানে অনেক বিক্ষোভকারী পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে বের হয়ে আসে। একটি দল বিভিন্ন আবাসিক এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ঘরবাড়ি ও গাড়ির জানালা ভেঙে দিয়ে যায়। যখন একজন বাসিন্দা জিজ্ঞাসা করেন, কেন তারা জানালা ভাঙছে, তখন বিক্ষোভকারীদের একজন উত্তর দেয়, ‘কারণ আমরা ইংরেজ। ‘ খবর বিবিসি
শনিবার (৩ আগস্ট) উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্ট থেকে ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে লিভারপুল এবং পশ্চিমে ব্রিস্টল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে উগ্র ডানপন্থীরা যুক্তরাজ্যজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হয়।
এমন পরিস্থিতে বিক্ষোভকারী অতি-ডনপন্থীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কের স্টার্মার। এই হামলায় জড়িত এমন প্রায় ১৫০ জন অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। আর এই গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই রোববার(৪ আগস্ট) নতুন করে বিক্ষোভ ছড়ায় ব্রিটেনের বহু জায়গায়।
রবিবার ব্রিটেনের লিভারপুল, ব্ল্যাকপুল, ম্যাঞ্চেস্টার, ব্রিস্টল, হাল শহরে মুসলিম অভিবাসী বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অতি-ডানপন্থীরা। এদিকে সাউথ ইয়র্কশায়ারে একটি হোটলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা।
সেই হোটেলে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন। তবে হোটেলের কেউ ঘটনায় আহত হননি বলে পুলিশ দাবি করে।
এদিকে এই সবের মাঝেই ব্রিটেন জুড়ে দোকানপাট লুট করা হচ্ছে।