আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৩ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে জিআরপি থানা পুলিশ।
রোববার (২৮ জুলাই) জিআরপি থানার ওসি তাপস দেব আমাদের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে জিআরপি থানা পুলিশের রুটিন তল্লাশির সময় রেলস্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. সেলিম রেজা (২৭), রাম সাহা (২৪), আসমাউল হক (২০), জাকির হোসাইন (৪০), ইব্রাহিম খলিল (২৩), শাহীন এলাম (২৮), নয়ন আলী (১৯), মো. ইলাহী হোসাইন (২১), মো. তাইব হোসাইন (১৯), মো. ডালিম (১৯), মো. আব্দুল আজিজ, মো. সাইফুল ইসলাম (২৫), সাহাবুদ্দিন শেখ (৩৩), মো. সাহিদুল ইসলাম (২০), মো. সুমন (২৬), মো. আমিরুল ইসলাম (২৪), হাজিকুল বাবু (২৩), রমজান শেখ (১৯), মো. মিজানুর (২৪), মো. রেহান শেখ (১৯)। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। মো. শাহীন আলী (২৬), আলী আকবার (২৬) ও শাকিল শেখের (১৯) বাড়ি রাজশাহী জেলায়।
ওসি জানান, ওই যুবকরা ট্রেনে করে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে, ভালো কাজের সন্ধানে অনুপ্রবেশ করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। তবে প্রকৃত কী উদ্দেশে তারা ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করেছে তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
এভাবে একসঙ্গে এতজন বাংলাদেশি যুবকের অনুপ্রবেশের ঘটনায় নতুন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন যদি বিএসএফ সীমান্তে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো তাহলে এতগুলো মানুষ একসঙ্গে অনুপ্রবেশ করা অসম্ভব ছিল।