1. admin@amaderpotrika.com : admin :
  2. anisurladla71@gmail.com : Anisur :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কারাবাসের ২৩ বছরে হারালেন মা-বাবা-সংসার, রেখার আশ্রয় বোনের বাড়িতে লালমনিরহাটে যমুনা টিভির প্রতিষ্ঠাবাষিকী পালিত লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন শ্যামল লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নিখোজের পরদিন তামাকের ক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার লালমনিরহাটের চন্দ্রপুরের বেলতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত -আহত-২ লালমনিরহাটে দাঁড়ানো যাত্রীবাহি ট্রেনে ইঞ্জিন লাগাতে গিয়ে ধাক্কা, আহত অর্ধশত যাত্রী লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আহত। স্বাধীনতা দিবসে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপির শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা লালমনিরহাটে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত।

টাঙ্গাইলে মৌমাছি চাষে ব্যস্ত চাষিরা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা গ্রামে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছি চাষের ১৩০টি বাক্স বসিয়েছেন খলিল গাজী। এ থেকে তিনি ৩০-৩৫ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

খলিল গাজী জানান, সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণ করলে পরাগায়ন হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে। তাই ক্ষেতের মালিকরাও মৌমাছি চাষিদের উৎসাহিত করছেন।

শুধু খলিল গাজী নন, জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ চলছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় বাক্স বসছে। গ্রামের মাঠজুড়ে আবাদ হয়েছে সরিষার। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে মৌমাছির সাহায্যে মধু সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মধু সংগ্রহের কারণে সরিষার ফলনও বাড়ে। ফলন ভালো হওয়ায় মধু সংগ্রহ বাড়বে বলে আশা চাষিদের।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উচ্চ ফলন ও স্থানীয় উভয় জাতের সরিষা চাষ করেন তারা। সরিষা নভেম্বরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবাদ করতে হয়। ফসল ঘরে উঠতে লাগে জাতভেদে ৭০-৯০ দিন।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। কৃষকরা যেমন ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। তেমনি ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন মৌমাছি চাষিরা।

খলিল গাজী মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা এলাকা থেকে। তিনি বলেন, ১৩০টি বাক্স ৩০-৩৫ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারব। দেড় মাস এখানে থাকব। দেড় মাসে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হবে। ৬-৭ লাখ টাকার মধু বিক্রি করতে পারব। পাইকারি ৯-১০ হাজার টাকা মণ দরে মধু বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। মধু সরাসরি কোম্পানিতে দিয়ে থাকি। সব খরচ বাদ দিয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ করার আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, মৌমাছির বাক্স বসালে ফলন ভালো হয়। তাই ক্ষেতের মালিকরা বাক্স বসাতে সহায়তা করেন। চাকরির অবস্থা বর্তমানে ভালো না। তাই শিক্ষিত যুবকদের দিন দিন মৌমাছি চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

মৌমাছি চাষি চয়ন মিয়া বলেন, এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। পরিবার থেকে খরচ দিতে পারে না। তাই একটা কিছুতো করতে হবে। সেজন্য মৌমাছি বাক্সের কাজ শিখতে চলে আসা। আশা আছে, নিজ উদ্যোগে মৌবাক্স গড়ে তোলার। কারণ বেকার বসে না থেকে কিছু একটা করা ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। জেলায় ৭৯ হাজার ৯৪১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮১ হাজার ৫৪০ হেক্টরে চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ হাজার ১২০ হেক্টর। গত মৌসুমের চেয়ে এবার ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মৌমাছি মাছি চাষের আওতায় জমি রয়েছে ১৮ হাজার ৮২ হেক্টর। মৌমাছির বাক্স স্থাপিত হয়েছে ৬ হাজার ৫৯৭টি। এখন পর্যন্ত মধু আহরণ হয়েছে ৫ হাজার ৯১৭ কেজি। জেলায় এ পর্যন্ত স্থানীয় ৩৪ জন ও অস্থায়ী মৌমাছি চাষি রয়েছে ৭৮ জন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, গত বছর কৃষকরা সরিষার ভালো দাম পেয়েছিলেন। এতে লাভবান হয়েছিলেন। এ বছরও বেশি লাভের আশায় সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগেও অনেক কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন।

সদর উপজেলার গালা এলাকার জাহিদ মিয়া বলেন, মৌ চাষিদের মধু আহরণের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সংরক্ষণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সরকারিভাবে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ মধু সংরক্ষণ করতে পারলে মৌচাষিরা আরও বেশি লাভবান হতে পারবেন।

আল-আমিন নামে আরেক চাষি বলেন, মৌ চাষে খরচ অনেক। বছরে ৭ মাস মধু হয় না। এ সময় মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখতে চিনি খাওয়াতে হয়। এ বছরে চিনির দামও বেশি। তাই লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক আগে থেকে মৌ চাষ করছি। সরকার যদি সরাসরি মধু সংগ্রহের ব্যবস্থা করত। তাহলে আমরা সঠিক দামটা পেতাম। এতে লাভ হতো বেশি।

এ ব্যাপারে ঢাকা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, মৌমাছি সরিষা ক্ষেতের ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষা ফুলে সহজে পরাগায়ন ঘটে। তাই ক্ষেতের পাশে মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করলে সরিষা ফলন অন্তত ২০-২৫ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি চাষিরা মধু আহরণ করে লাভবান হন। সরিষা চাষিরা মধু সংগ্রহকারীদের বাধা না দিয়ে আরও সহযোগিতা করেন। নানাভাবে মধু সংগ্রহকারীদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD