লালমনিরহাট -৩ আসনে বিএনপির ও জাপার ঘাটি ভাঙতে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চান লালমনিরহাট সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ জেলা পরিষদ জনপ্রতিনিধিরা। তাই সংগঠন গোছাতে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এমনটাই প্রত্যাশা দলীয় নেতাকর্মী ও জন প্র্রতিনিধিদের। নৌকার দায়িত্ব পেলে ভোটাররা মতিয়ারকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সভাকক্ষে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি অ্যাডভোকেট মতিয়ারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, লালমনিরহাট-৩ আসনের সাধারন ভোটাররা আর লাঙ্গল ঘাড়ে নিতে চায় না। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা থেকেছেন অবহেলিত। এ কারণে ধীরে ধীরে সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। এবার সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ জনগণ।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করছি। দলীয় স্বার্থে লালমনিরহাট ৩ আসনে দীর্ঘ দিন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এ কারনে দলের নেতাকর্মীরা অবহেলিত থেকেছেন অনেক নেতাকর্মী নিস্কৃয় হয়ে পড়েছেন। অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে এই আসনের সাধারন ভোটারগণ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
এসময় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা পরিষদ সদস্য মেহরুন নাহার মেরি, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক খন্দকার রানা,ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, টোটোনসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।