আড়ম্বর আয়োজনে দেশীয় ফলের সমারোহে লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ফল উৎসব ২০২৩ ‘ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুল প্রাঙ্গণে মহা সাড়ম্বরে নানান জাতের ফল দৃষ্টিনন্দন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের যৌথ প্রচেষ্টায় মিলনমেলায় পরিনত হয় স্কুল প্রাঙ্গণ। সকালে ফল উৎসবের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মেজর মহিদুর রহমান, পিএসসি, এইসি।
প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার দেশিয় ফল সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করার লক্ষ্য নিয়েই এই আয়োজন। বিশেষত ফলগুলোর বাংলা, ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নাম, পুষ্টিগুণ এবং ভেষজ গুণাবলি সম্পর্কে অবগত হওয়ার অমীয় সুযোগ তৈরি হয়। রঙ বেরঙের ২৯ টি স্টলের মাধ্যমে ৫০ প্রজাতিরও অধিক আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ, কলা, পেয়ারা, পেঁপে এর পাশাপাশি বহেরা, আমলকি, হরিতকী, ছফেদা, জামরুল, নাগেশ্বর, ডেউকি, ডেউয়া, গাব, তাল ইত্যাদি দেশীয় ফল সাজিয়ে তোলা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ দিন রাত পরিশ্রম করে নানান সাজে সৃজনশীলতার নান্দনিক বৈচিত্রতা ফুটিয়ে তোলেন। সকাল থেকেই ফল উৎসব ঘিরে মিলনমেলায় পরিনত হয় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
পরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা সেখানে ফল উৎসব ও দেশীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে স্টল সাজানোর ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, ফল উৎসবের মাধ্যমে নতুন উদ্যোমে প্রাণ ফিরে পেয়েছি প্রতিষ্ঠানটি। পড়াশুনার পাশাপাশি দেশিয় ফলে এমন সমাহারে যেমন তারা অজানা বিষয় জানছেন তেমনি পরিবার পরিজন নিয়ে ফলের স্বাদ গ্রহণ করছেন। শিক্ষার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ অনেক বেশি প্রশংসনীয় বলে জানায় তারা।
অভিভাবকরা বলছেন, গত কয়েকদিন থেকে পরীক্ষার পাশাপাশি ফল উৎসবের প্রস্তুতি আলাদা আনন্দ এনে দেয়। বাহারি ফল সংগ্রহে ও নিত্য নতুন সাজে সাজিয়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলিত প্রয়াসে মিলনমেলায় খুশী অভিভাবকরা।
লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মো: মহিদুর রহমান, পিএসসি, এইসি বলেন, জেলায় প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা নতুন হলেও সুনির্দিষ্ট কারিকুলাম ও ডিসিপ্লিন মেনে পড়াশুনার কার্যক্রম চলায় প্রতিষ্ঠানটি প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছে। শিক্ষার্থী আরও বেশি অনুপ্রেরণা জোগাতে ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তারা যেমন বিভিন্ন ফল সম্পর্কে জ্ঞান পেলো তেমনি এসব ফলের স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে। আমরা এমন আয়োজন বারবার করতে চাই যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার বাইরেও বিভিন্ন জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। এসময় তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় সফল আয়োজনে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।