শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি আত্মহত্যা
বাগেরহাটে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় সাদিয়া বেগম (২২) নামে এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে না-কি সে আত্মহত্যা করেছে, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। তবে মেয়ের বাবা হত্যার অভিযোগ তুলেছেন।
মঙ্গলবার তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সাদিয়া বেগমের স্বামী বিদেশে থাকে এবং তাদের দাম্পত্য জীবনে মরিয়ম নামের দেড় বছর বয়সী একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাদিয়া বেগমের পিতা পাটরপাড়া গ্রামের কৃষক মো. হেদায়েত তালুকদার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ের স্বামী জাকারিয়া শেখ মালয়শিয়া থাকে। এই সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ের উপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানামুখি নির্যাতন চালিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাদিয়ার শ্বাশুড়ী ফতু বেগম, ভাসুরের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও ভাসুরের ছেলে মাহমুদ শেখ সাদিয়াকে ব্যাপক মারপিট শেষে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর তারা সাদিয়ার লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। এলাকার এক প্রভাবশালী যুবক এই বিষয়টি শীথিল করার জন্য পুলিশের সাথে নানা দেন-দরবার করছে বলে হেদায়েত হোসেন দাবী করেছে।
সাদিয়ার ভাসুর মো. জাফর শেখ হত্যা ও মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার ভাই জাকারিয়ার স্ত্রী সাদিয়া ঘরের ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিদেশে অবস্থানরত স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় তার মনোমালিন্য হয়। এরপর অভিমানে সে আত্মহত্যা করে বলে তিনি জানান।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) অনুকুল সরকার জানান, বড়বাড়িয়া গ্রামের জাকারিয়া শেখের স্ত্রী সাদিয়াকে হত্যা করা হয়েছে ? নাকি সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার লাশ ময়না তদন্ত করতে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।