1. admin@amaderpotrika.com : admin :
  2. anisurladla71@gmail.com : Anisur :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ভলিবল প্রশিক্ষনের উদ্বোধন লালমনিরহাটে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন গাজীপুরের নগরমাতা নির্বাচিত হলেন বছর না ঘুরতেই সানাইয়ের বিচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রতিবাদে লালমনিরহাটে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ‘দফা একটাই সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ!” লালমনিরহাটে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লালমনিরহাটের বায়ান্নর ভাষাসৈনিক জহির উদ্দিন আহমেদ আর নেই বর্তমান সরকারের সময়েই গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের লোগো উন্মোচন করল ফিফা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা-লালমনিরহাটে মানববন্ধনে সাংবাদিক সমাজ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ প্রকাশের জেরে যমুনা টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলু বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব ও কালীগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাবের যৌথ আয়োজনে এই মানবন্ধন কর্মসূচিতে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম লালমনিরহাট ও মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাংবাদিকরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করা হয়েছে। আমরা স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারছিনা। সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, লেখার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিকরা। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানায় তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলু ও তার বাহিনীর জমি দখল, মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলাসহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট, সেই শিপলু মামলা করে প্রমাণ করেছে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা আজ বাধার মুখে। এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার পাঁয়তারা। এ সময় সাংবাদিকরা ওই শিপলু’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিসহ হয়রানিমূলক এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

সরকার মাজহারুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে সৎ এবং সাহসী সাংবাদিকতা করছেন। যমুনা টেলিভিশনের ক্রাইমসিনে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তাতে আদালতের রায়, মামলার নথিপত্র, আইনের ধারা উল্লেখসহ ভুক্তভোগীদের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও মেয়রের বক্তব্য নিয়ে করা হয়েছে। সেখানে যমুনার নিজস্ব কোনো কথা বা মন্তব্য নেই কিন্তু শুধুই হয়রানীর জন্য তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলাল, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম লালমনিরহাট এর সভাপতি ,যমুনা টেলিভিশন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা, টেলিভিশন ফোরামের সাধারন সম্পাদক ,বৈশাখি টেলিভিশনের তৌহিদুল ইসলাম লিটন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খোরশেদ আলম সাগর ,সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সাজু,কালীগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি নুর আলমগীর অনু, সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ শিপন,সাংগঠনিক সম্পাদক রাহেবুল ইসলাম টিটুল দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার লালমনিরহাট  প্রতিনিধি শাহজাহান আলী সাজু।

এর আগে বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ।

দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন- যমুনা টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান (৪৫), নূর মোহাম্মদ (৫৫) ও রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাফিউল ইসলাম শাফি (৫০)।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ৯টায় যমুনা টেলিভিশনের অপরাধ অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ক্রাইম সিনে কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে সরকারি দলের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং মাদকের কারবারসহ তার বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের দীর্ঘ সময়ের একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়। প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে আসামিরা যোগসাজশে কাউন্সিলর শিপলুর মানহানি, সুনামক্ষুন্ন করার চেষ্টার সঙ্গে বর্তমান সরকার তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে দুর্বল ও জনবিচ্ছিন্ন করতে অপপ্রচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বাদী শিপলু নিজেই ওই মামলার এজাহারে জাল দলিলে জমি দখল সংক্রান্ত একটি মামলায় এক বছরের সাজার কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগের মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। জামিনে থাকা কাউন্সিলরের দাবি আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনত সাজার আদেশ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তারপরও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে যমুনা টেলিভিশনের ক্রাইম সিনে সংবাদ প্রচার করে জনমনে আতংক ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপুল বলেন, যমুনা টেলিভিশনে আমার বিরুদ্ধে প্রচারিত সংবাদে তুলে ধরা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্যমূলক এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এ কারণে বুধবার দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দাখিল করেছি।

এদিকে মামলার আইনজীবী এসএম মাহামুদুল হক সেলিম ও পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার জানান, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪-এর ২, ২৫ এর-২, ২৭-এর ২, ২৯-এর ১ এবং ৩১-এর ২ ধারায় অভিযোগটি করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ড. আব্দুল মজিদ।

গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছে দাবি করে যমুনা টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান বলেন, যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন প্রতিবেদন ক্রাইম সিনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি জালিয়াতির কারণে এক বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলু বাহিনীর জমি দখল, মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবেদন করায় এই মামলা করা হয়েছে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রচারিত প্রতিবেদনে যমুনা টেলিভিশন কোথাও নিজের কোনো কথা বলেনি। আদালতের রায় ও মামলার নথিপত্র, ভুক্তভোগী জনসাধারণের বক্তব্যের কিছু অংশ প্রচার করেছে মাত্র। এ কারণে কাউন্সিলর শিপলু আমাকেসহ তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগের মামলা করা নূর মোহাম্মদ এবং সাবেক কাউন্সিলর শাফিকে আসামি করে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছেন। অথচ কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলু নিজেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি যখন মামলা করেন তখন তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন। একজন ওয়ারেন্ট এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কীভাবে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে মামলা করে সেটি দেখার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD