বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেছেন,বিএনপি একটি স্বাধীনতা বিরোধী ও খুনির দল।জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মদত দিয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৯৩ সালে শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করার জন্য ১৭জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে, ২০০৪ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন চাপাঁইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করার সময় ১৮জন গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করেছিলো। ২০১৪ সালের দিকে আন্দোলনের নামে ৯৩জন হেলপার, ড্রাইভার, ১৭ জন পুলিশ, ৩ জন বিজিবি, ২ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নারী পুরুষকে পুড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা করে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। বাংলার মানুষ তা হতে দেয়নি, প্রতিবাদ ও প্রতিহত করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবাষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন কিন্তু বাংলার মানুষকে তিনি অর্থনৈতিক ভাবে মুক্তি দিতে পারেননি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে অর্থনৈতিক ভাবে মুক্ত ও আজকের এই বাংলাদেশকে উন্নয়ন করেছেন, যে বাংলাদেশ গরিব ও স্বল্পোন্নত ছিলো সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হয়েছে।
তিনি বলেন, শাজাহান খান আরও বলেন, বাংলাদেশকে যদি আরও উন্নয়নশীল ও সমৃদ্ধ সোনার দেশ হিসেবে দেখতে চান ও বাংলাদেশকে যদি খুন, ধর্ষন, গুম ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চান তাহলে আবারও শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন খালেদা জিয়া নাকি মহিলা মুক্তিযোদ্ধা। তার কাছে আমার প্রশ্ন ওই সময় খালেদা জিয়া কোথায় ছিলেন? ওই সময় খালেদা জিয়া সেনা ক্যাম্পে মেজর জানজুয়ার আতিথেয়তায় ছিলেন। তিনি কখন মুক্তিযুদ্ধ করলেন? তাহলে তিনি কেমন করে মহিলা মুক্তিযোদ্ধা হলেন। ক্ষমতা হারিয়ে তারা উম্মাদ হয়ে গেছে, পাগল হয়ে গেছে। আর এই উম্মাদ পাগল দিয়ে কখনো সরকার পরিচালনা সম্ভব নয়।
সমাজকল্যান মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সম্মেলনের উদ্বোধক লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ রাকিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত),সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেফাজ রাঙ্গা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এসময় অতিথিদের এ সম্মানে ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। আসন গ্রহণ করার পর দলীয় নেতৃবৃন্দকে উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়ে অতিথিবৃন্দ শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।সম্মেলনের শেষে আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ কে সভাপতি, মিজানুর রহমান মিজু সাধারন সম্পাদক ও কমলেন্দু রায় মিন্টুকে যুগ্ম সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়।